১৪ জুলাই ২০২৫:
সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির প্রতিবাদ এবং শিক্ষাঙ্গনে পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে । বিক্ষোভটি শাহবাগ মোড়ে সংক্ষিপ্ত একটি সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই মিছিলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার চার মহানগর, রাজধানীর মধ্যকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এবং থানাভিত্তিক ইউনিটের শত শত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। তারা স্লোগানে স্লোগানে গোপন ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার অঙ্গীকার জানান এবং শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা।
ছাত্রদলের ব্যানার-প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল: “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা চলবে না!”, “গুপ্ত সংগঠনের অপতৎপরতা রুখে দাও!”, “ছাত্র রাজনীতি চাই, গুপ্তচর রাজনীতি নয়!”।
ছাত্রদল অভিযোগ করেছে যে, পরিকল্পিতভাবে একটি গুপ্ত সংগঠন শিক্ষাঙ্গনে মব তৈরি করে সৃষ্টি করছে অরাজকতা । তারা বলেছে,
“এই সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে গোপনে তৎপর হয়ে আছে। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে উঠে পরে লেগেছে। এই গোষ্ঠী সারাদেশে সহিংসতা বাড়ানোর জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।”
এই অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করে ছাত্রদলের নেতারা বলেন, এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পূর্ব সংকেত।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন,
“গত এক সপ্তাহে আরও বেশ কয়েকটি নির্মম হত্যাকাণ্ড হয়েছে, কিন্তু সেগুলো নিয়ে তো কোনো গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করছে না। অথচ শুধুমাত্র মিটফোর্ডের ঘটনা নিয়ে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। বিএনপি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”
তিনি বলেন,
“আমাদের এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান পরিষ্কার করতে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়েছি। আমরা বিশৃঙ্খলা করতে চাই না, কিন্তু ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প পথও নেই।”
গত ১৩ জুলাই রোববার ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তারা এই বিষয়ে বলেন,
“ছাত্রদল কখনো অরাজকতা বা সহিংসতায় বিশ্বাস করে না। আমরা চাই, শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আসুক এবং শিক্ষার্থীরা যেন কারো রাজনৈতিক হাতিয়ার না হয়।”
Tasin/DBN