আজ শনিবার বিকেল ৩ তা ৪৫ মিনিটে সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কড়া ভাষার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন,
যেখানে তিনি অভিযোগ তুলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিদেশ সফর ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বক্তব্য নিয়ে একাধিক । এই রাজনৈতিক সফরকে তিনি আখ্যায়িত করেছেন “ইউনূসের আন্তর্জাতিক মিথ্যাচারের সফর” বলে।
জয় তার পোস্টে সরকারি সফরের নামে ব্যক্তিগত ভ্রমণ ও রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে বলেছেন,
ব্রিটেনে সরকারি সফরের নামে ড. ইউনূস জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন, কিন্তু এটি ছিল প্রকৃতপক্ষে একটি ব্যক্তিগত সফর, যেখানে তিনি ব্যয় করেছেন রাষ্ট্রীয় অর্থ । তার মতে, ইউনূস এ সফরকে সরকারিভাবে ঘোষণা না থাকা সত্ত্বেও উপস্থাপন করেছেন রাষ্ট্রীয় ভ্রমণ হিসেবে যা জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
তিনি বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার বিষয়টি নিয়ে বলেন,
লন্ডনের চ্যাথাম হাউজে বক্তৃতার সময় ইউনূস বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙার ঘটনা ঠেকাতে না পারার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সেখানে মিথ্যা বলেছেন। বরং জয়ের কড়া দাবি, এই ভাঙচুরের পেছনে পূর্ণ সহযোগিতা ছিল ইউনূস ও তার উপদেষ্টা পরিষদের । এমনকি তারা নিজেরাই বুলডোজার পর্যন্ত সরবরাহ করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি ।
জয় ফেসবুকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিষয়ে মিথ্যাচারের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন,
ইউনূস বিবিসিকে বলেছেন যে তিনি হস্তক্ষেপ করেননি দুদকের কোন কাজে । অথচ, আগস্ট থেকে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যেসব মামলা দায়ের হয়েছে তার সবই মিথ্যা, সবগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ইউনূস এগুলোর বিষয়ে মিথ্যাচার করেছেন। এতে করে তাঁর পরিবারের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে জানান,
ইউনূসের প্রেস সচিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, একজন ব্রিটিশ এমপি নাকি বলেছেন, তখন কানাডায় ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার । এই তথ্য ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা, কারণ ঐ সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন হাউস অব কমন্সে ।
জয়ের মন্তব্য,
ইউনূস এই ধরনের “গুজব ছড়িয়ে” আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও জনমতকে বিভ্রান্ত করার গভীর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। “মিথ্যা হত্যা মামলা কিংবা জেলের ভয় দেখিয়ে” আর নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বিশ্ব মিডিয়াকে ।
পোস্টের শেষদিকে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেন,
ইউনূসকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মতো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও সাক্ষাৎ দেননি। ইউনূস একজন অনির্বাচিত ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী, যিনি বাংলাদেশের অস্তিত্ব ধ্বংসের পথে কাজ করছেন।
Tasin/DBN