ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫ দ্রুত চূড়ান্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবিতে রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে বিক্ষোভে নেমেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের মুহুর্মুহু স্লোগান ও দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভবন প্রাঙ্গণ। এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে শিক্ষা ভবনের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ প্রশাসন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে শিক্ষা ভবনের সামনে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সচিবালয় অভিমুখের সড়কে ব্যারিকেড বসিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
এই আন্দোলনের মূল কারণ হলো- চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে পৃথক করে একটি নতুন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত এই নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম নির্ধারণ করেছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’।
শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান কর্মসূচির জেরে ব্যারিকেডের সামনেই সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে। এর পাশাপাশি সেখানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান (এপিসি) ও জলকামান, যা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
জানা যায়, সকাল ১১টা থেকেই শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে প্রথম শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও এই বিক্ষোভে যোগ দিতে থাকেন, ফলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে।