প্রতি বার ফরজ নামাজ আদায় করার পর
১। আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি। (কমপক্ষে ১ বার)
অর্থ: “আমি সেই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ব্যতীত কোনো সত্য উপাস্য নেই, যিনি চিরঞ্জীব ও চিরন্তন; এবং আমি তাঁর দিকে ফিরে আসি।”।
২। আয়াতুল কুরসি:
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম। লা তা খুজুহু সিনাতু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস সামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মান জাল্লাজি ইয়াশ ফাউ ইনদাহু ইল্লা বি ইজনিহি, ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম মিন ইল মিহি ইল্লা বিমা শা আ, ওয়াসিয়া কুরসি ইউহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলি ইয়ুল আজিম। (কমপক্ষে ১ বার)
বাংলা অর্থ: আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, সবই তার। কে আছ এমন যে সুপারিশ করবে তার কাছে তার অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে, সে সবই তিনি জানেন। তার জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তার কুরসি (সিংহাসন) সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
৩। সূরা কুরাইশ:
লিঈলা-ফি কুরাইশ। ঈলা-ফিহিম রিহলাতাশশিতাই ওয়াসসাঈফ। ফালইয়া‘বুদূরাব্বা হা-যাল বাঈত। আল্লাযীআতা‘আমাহুম মিন জূ‘ইওঁ ওয়া আ-মানাহুম মিন খাওফ। (কমপক্ষে ১ বার)
অর্থঃ কোরাইশের আসক্তির কারণে, আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের। অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।
৪। সূরা নছর:
ইযা জা-আ নাছরুল্লা-হি ওয়াল ফাৎহু । ওয়া রাআয়তান্না-সা ইয়াদখুলূনা ফী দী-নিল্লা-হি আফওয়া-জা । ফাসাব্বিহ বিহামদি রব্বিকা ওয়াস্তাগফিরহু, ইন্নাহূ কা-না তাউওয়া-বা । (কমপক্ষে ১ বার)
অনুবাদ : (১) যখন এসে গেছে আল্লাহর সাহায্য ও (মক্কা) বিজয় (২) এবং আপনি মানুষকে দেখছেন দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে (ইসলামে) প্রবেশ করছে (৩) তখন আপনি আপনার পালনকর্তার প্রশংসা সহ পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি অধিক তওবা কবুলকারী।
৫। সুরা ইখলাসের :
কুল হুওয়াল্লা হু আহাদ, আল্লা হুসসামাদ, লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ, ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ। (কমপক্ষে ৩ বার)
১.বলো তিনি আল্লাহ (যিনি) অদ্বিতীয় ২.আল্লাহ সবার নির্ভরস্থল ৩.তিনি কাউকে জন্ম দেননি ও তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি ৪.আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
৬। সুরা ফালাক:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কুল আ’ঊযু বিরব্বিল ফালাক। মিন্ শাররি মা-খলাক্ব। ওয়া মিন্ শাররি গা-সিক্বিন ইযা-অক্বাব। ওয়া মিন্ শাররিন্ নাফ্ফাসা-তি ফিল্ উক্বাদ। ওয়া মিন্ শাররি হা-সিদিন ইযা-হাসাদ। (কমপক্ষে ৩ বার)
অনুবাদ :‘বলো, আমি শরণ নিচ্ছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অমঙ্গল হতে; অমঙ্গল হতে রাত্রির, যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়, অমঙ্গল হতে সেসব নারীর যারা গিঁটে ফুঁ দিয়ে জাদু করে এবং অমঙ্গল হতে হিংসুকের যখন সে হিংসা করে।’
৭। সূরা নাসের বাংলা উচ্চারণ :
কুল আউযু বিরাব্বিন নাস। মালিকিন্ নাস। ইলাহিন্ নাস। মিন্ শররিল ওয়াস্ ওয়াসিল খান্নাস। আল্লাযী ইউওযাসবিসু ফী ছুদুরিন্নাস।মিনা জিন্নাতি ওয়ান্নাস। (কমপক্ষে ৩ বার)
বাংলা অর্থ : ‘বলো, আমি শরণ নিচ্ছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধীশ্বরের, মানুষের উপাস্যের, তার কুমন্ত্রণার অমঙ্গল হতে, যে সুযোগ মতো আসে ও সুযোগমতো সরে পড়ে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিন বা মানুষের মধ্য থেকে।’
৮। সুরা কাফিরুন:
কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরুন। লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদুন। ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদুনা মাআ‘বুদ। ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম, ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদুনা মাআ‘বুদ। লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দিন। (কমপক্ষে ৩ বার)
সুরা কাফিরুন অর্থ: বলুন, হে কাফেরকুল, আমি এবাদত করি না, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও এবাদতকারি নও, যার এবাদত আমি করি এবং আমি এবাদতকারি নই, যার এবাদত তোমরা করো।
তোমরা এবাদতকারি নও, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্য।
৯। আস্তাগফিরুল্লা (কমপক্ষে ১০০ বার)
১০। “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল মালিকুল হাক্কুল মুবিন” (কমপক্ষে ১১ বার)
অর্থ হলো: “আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ (উপাসনার যোগ্য) নেই, তিনি প্রকাশ্য বাদশাহ এবং সবকিছুর প্রকাশকারী”।
১১। উচ্চারণ : হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল, নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান-নাসির’(কমপক্ষে ১১ বার)
অর্থ : আল্লাহ তাআলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই হলেন উত্তম কর্মবিধায়ক; আল্লাহ তাআলাই হচ্ছে উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।
১২। “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদ” (কমপক্ষে ১১ বার)