নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, আগামী শনিবারে মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমার বিশ্বাস, আগামী শনিবার থেকে সব কারখানা নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে পারবে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আরএমজি এবং নন-আরএমজি সেক্টরের শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনাপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ কারখানাগুলো সুন্দরভাবে চালু হয়েছে। কিন্তু একটি বড় প্রতিষ্ঠানের গতকাল বেতন দেওয়ার কথা ছিল। দিতে না পারায় আজ দুপুর থেকে ওই কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আশপাশের কিছু কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে সেই কারখানার শ্রমিকরা বেতন পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি। আগামী শনিবার থেকে সব কারখানা নিরবিচ্ছিন্নভাবে স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবে।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আশুলিয়া, জিরাবো, জিরানী জোনে ৪০৮টি কারখানা রয়েছে। গত কয়েক দিনের শ্রমিক অসন্তোষে এ সমস্ত এলাকার ৪০ থেকে ৬০টি কারখানা বন্ধ আছে। কিছু বন্ধ রেখেছে ইচ্ছাকৃত আর কিছু শ্রমিক অসন্তোষের জন্য।
তিনি আরো বলেন, গত পরশুদিন আমরা আশুলিয়ার কারখানা মালিক ও শ্রমিকসহ একটি সভা করেছি। সেখানে শ্রমিকরা চারটি বিষয়ে সমাধানের কথা বলেছে। মালিকপক্ষ তা তখনই সমাধান করে দিয়েছে। তার মধ্যে কারখানায় চাকরির ক্ষেত্রে একটি দাবি উঠেছিল পুরুষদের ৭০ শতাংশ এবং নারীদের ৩০ শতাংশ নিয়োগ দিতে হবে। অথচ বায়ার বলেছে নারীদের বেশি দিতে হবে। তখন আমরা বলেছি দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। এটা তারা মেনে নিয়েছে। এরপর ছিল টিফিনের দাবি এবং উপস্থিতির বোনাস দাবি, তাও মেনে নেওয়া হয়েছে।