এবার বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন ও গাজীপুর পাঁচটি সংসদীয় আসন থাকবে বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
গত ১০ ডিসেম্বর রোজ বুধবার আদালত এ রায় দেন।
এর আগে গত ১০ নভেম্বর বুধবার বাগেরহাটের সংসদীয় আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি সংসদীয় আসন এবং গাজীপুরের পাঁচটি থেকে বাড়িয়ে ছয়টি সংসদীয় আসন নির্ধারণ করে জারি হওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রজ্ঞাপনকে হাইকোর্ট অবৈধ বলে ঘোষণা করেন । এ সংক্রান্ত রিটের রায়ে আদালত একইসঙ্গে আগের সীমানা অনুযায়ী বাগেরহাটে চারটি এবং গাজীপুরে পাঁচটি আসন বহাল রাখতে ইসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তখন হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেছিলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের রায়ের বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত কী হবে, সেটি পরে জানিয়ে দেয়া হবে।’
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল করতে নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেদিন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
বাগেরহাটে গত ১৯৬৯ সাল থেকে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। এই অনুযায়ী বাগেরহাট-১ ছিল চিতলমারী–ফকিরহাট–মোল্লাহাট; বাগেরহাট-২ ছিল বাগেরহাট সদর–কচুয়া; বাগেরহাট-৩ ছিল রামপাল-মোংলা ও বাগেরহাট-৪ ছিল মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।
গত ৩০ জুলাই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে “তিনশ“ আসনের সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন। যেখানে ৩৯টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন ছাড়াও ভোটার ও জনসংখ্যার সামঞ্জস্য আনতে বাগেরহাটের একটি সংসদীয় আসন কমিয়ে তিনটি সংসদীয় আসন এবং গাজীপুরে একটি সংসদীয় আসন বাড়িয়ে ছয়টি সংসদীয় আসন নির্ধারণ করা হয়। এরপর দাবি-আপত্তির শুনানি শেষে গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। সেখানেও বাগেরহাটে তিনটি সংসদীয় আসন এবং গাজীপুরে ছয়টি সংসদীয় আসন করার আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।

