আজ ৯ জুলাই রোজ বুধবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া সেই অডিও রেকর্ডিং হলো এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জোরালো প্রমাণ যে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের চলমান সময়ে তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালানোর অনুমতি দেন।
“এই অডিওটি থেকে স্পষ্ট হওয়া যায় যে, নিরাপত্তা বাহিনীকে শেখ হাসিনা নিজেই– ‘যেখানেই আন্দোলনকারী পাবেন, গুলি করবেন’ বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এটি কোনো ভুল বোঝাবুঝি বা নিচের স্তরের কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। এটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দিক থেকে এসেছিল।”
বিবিসি আই-এর যাচাই করা অডিওর কথা উল্লেখ করে ড. নজরুল তার পোস্টে লিখেন, বিবিসি আই নামক আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানমূলক সংবাদ সংস্থার যাচাই করা এই রেকর্ডিং অনুসারে, শেখ হাসিনা তাঁর নিরাপত্তা বাহিনীকে ‘আন্দোলনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার’ করার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশের মত একটি গণতান্ত্রিক দেশে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও আইনবিরোধী কার্যক্রম।
শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশেই হবে বলে উল্লেখ করে পোস্টের শেষে আসিফ নজরুল দৃঢ় ভাষায় লেখেন, “অবশ্যই শেখ হাসিনার উপযুক্ত বিচার হবে বাংলাদেশে।”
এই বক্তব্য স্পষ্টতই একটি বার্তা বহন করে যে, আন্তর্জাতিক চাপ বা ভিন্ন ভিন্ন দেশের আশ্রয়ে না গিয়ে, তাঁকে বাংলাদেশেই বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে প্রত্যয় রয়েছে সরকারের ।
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার: ১০ জুলাই আদেশের ব্যাপারে বলেন,
অন্যদিকে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া গণহত্যা ও সহিংসতার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন–এর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে।
এই মামলার অভিযোগ ১০ জুলাই ২০২৫ তারিখে গঠনের আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে।
এ মামলায় অভিযোগ রয়েছেঃ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাণঘাতীভাবে ব্যবহারভ করা, গুলি করে হত্যা করা, নিখোঁজ ও নির্যাতনের নির্দেশ দেওয়া, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন করা।
Tasin/DBN