চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিদার স্থানীয়রা ” এমন মন্তব্য করার কারণে হাটহাজারী উপজেলা আমীরের পদ থেকে মো.সিরাজুল ইসলামকে জামায়াতে ইসলামী অব্যহতি দিয়েছে।
আজ ৭ই সেপ্টেম্বর রোজ রোববার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জামায়াতে ইসলামী। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি ফজলুল করিম এই বিষয়টি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ৪ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের এক মতবিনিময় সভায় সিরাজুল ইসলাম নিজেকে এবং স্থানীয়দের “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার মালিক ও জমিদার” হিসেবে অভিহিত করেন। তার এই বক্তব্যের ভিডিও অতি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে যায় জামায়াতে ইসলামী। এমনকি এর ফলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরও প্রতিবাদ জানায় তার এই বক্তব্যের । জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সিরাজুল ইসলামের বক্তব্যটি তার নিজস্ব এবং এটি সংগঠনের ভাবমূর্তিক্ষুণ্ণ করেছে। এই ‘বিনয় পরিপন্থী’ বক্তব্যের জন্য দলটি দুঃখ প্রকাশ করেছে।”
এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “জামায়াতে ইসলামী মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় ও এলাকাবাসী পরস্পর প্রতিপক্ষ নয়, বরং পরিপূরক। তাদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে ।”
Tasin/Digital Khobor