আজ ৭ মে রোজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় নাগরিক পরিষদ আয়োজিত এক কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ভুল সংস্কারের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে আবারও “ওয়ান ইলেভেন” এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
সংস্কার নিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুকের শঙ্কা
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এমন কোনো সংস্কার বা পরিবর্তন অন্তবর্তী সরকারকে করতে যাওয়া উচিত নয়, যা দেশে আবার নতুন করে সংকট তৈরি করতে পারে।অন্তবর্তী সরকারের উচিত ওয়ান ইলেভেনের মতো পরিস্থিতি এড়াতে বর্তমান অবস্থা অপরিবর্তিত রাখা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এখন দেশকে নতুন সংকটের দিকে ঠেলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।
খালেদা জিয়ার গণঅভ্যর্থনা ও নির্বাচনের দাবি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ব্যাপক গণঅভ্যর্থনা পেয়েছেন চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে আসার পর ।জয়নুল আবদিন ফারুক এ প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে খালেদা জিয়ার এই অভ্যর্থনা আবার নতুন করে উদ্দীপনা তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, এই উদ্দীপনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্বাচন আয়োজনের উপযুক্ত সময় নির্দেশ করছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুত নির্বাচনের প্রয়োজন বলে কথায় জোর দেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত করার অভিযোগ ফারুকের
জয়নুল আবদিন ফারুক অভিযোগ করেন যে, নানান রকম চক্রান্ত চলছে নির্বাচনের বিষয় নিয়ে । বিশেষ করে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করার অপচেষ্টার ব্যাপারে । তিনি এই বিষয়ে ড.মুহাম্মদ ইউনূসকে সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানান। ফারুক মনে করেন, দেশের রাজনীতিতে নির্বাচন নিয়ে বিদেশি মহলের বিভিন্ন তৎপরতা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
জয়নুল আবদিন ফারুক রাখাইন জনগোষ্ঠীর প্রতি বাংলাদেশের সহযোগিতার ক্ষমতা নিয়ে কথা বলেন । তিনি রাখাইন জনগোষ্ঠীদের বিষয়ে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের- করিডর না দিয়েও রাখাইনদের সহযোগিতা করার সক্ষমতা আছে।” নতুন নির্বাচিত সরকারকেইই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক বলে জানান তিনি।
সরকারকে সতর্ক করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ” সকল সমস্যার সমাধান করা উচিত রাজনৈতিক সমঝোতা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রেখে । দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে হদি ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হয়।”
রাজনৈতিক অঙ্গনে জয়নুল আবদিন ফারুকের বক্তব্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তার বক্তব্যকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমর্থন জানালেও এ বক্তব্যকে অন্যান্য দলের নেতারা ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।