ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও ঢাকা–১৬ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আমিনুল হক বলেছেন, দেশের প্রায় ৫৫ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুলকে মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারিভাবে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। একই সঙ্গে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আজ শনিবার সকালে পল্লবী ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান আমিনুল হক।
অ্যাসোসিয়েশনকে সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত ও প্রস্তাবনা লিখিত আকারে জমা দিতে অনুরোধ করেন আমিনুল হক। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আগামী নির্বাচনী ইশতেহারে আপনারা যেন কিন্ডারগার্টেন খাতের পক্ষে সঠিক নীতিমালা ও গাইডলাইন উপস্থাপন করতে পারেন—আমরা সেটি চাই।’

আমিনুল হক জানান, এ বিষয়ে শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কিন্ডারগার্টেন স্কুলের নিবন্ধন জটিলতা দূর করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘সহজ শর্তে নিবন্ধনের ব্যবস্থা ও সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরিতে কাজ করা হবে।’
সরকারি বৃত্তি প্রদান বন্ধ হওয়ায় বৈষম্য তৈরির অভিযোগ তুলে বিএনপির এ প্রার্থী বলেন, তাঁর দল ক্ষমতায় গেলে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আবারও বৃত্তি পুনর্বহাল করা হবে।
সভায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ড. এল.এম. কামরুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন এ.টি.এম. অলিউল হাসানাত তুহিন। প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন। এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম মন্টু, বিকেএর ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুর রহমান বাবু, হামিদুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম, হায়দারুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম বাদশাসহ সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষক–শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।

