সরকারের পদত্যাগে এক দফাসহ বিভিন্ন দাবিতে আবারও ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
একদিন বিরতি দিয়ে বুধবার ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি ডেকেছে তারা।
সোমবার বিকালে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।এর আগে সোমবার দুপুরে এলডিপির পক্ষ থেকেও অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।
২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক সংঘাতের পর এটি বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর তৃতীয় বারের মতো অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা।
বিএনপির দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শেষ হচ্ছে।
অবরোধ কর্মসূচি সফলের জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
রিজভী অভিযোগ করেন, বাড়িতে বাড়িতে গ্রেফতার অভিযান চলছে। এখন নারী নেতাকর্মীরাও গ্রেফতার থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। নারীদেরকে পুরুষ পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতার করছেন, যা কোনো আইনে নেই। র্যাবকে আবারও বিরোধী দল দমনে নামানো হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, ক্ষমতাসীনরা বাসে আগুন দিয়ে দায় চাপায় বিরোধীদের। বাসে আগুন দিয়ে ধরা পড়ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, যা ইতোমধ্যে প্রমানিত। অথচ তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছেনা। মিডিয়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আদালত সরকারের কব্জায়। তাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অগ্নিসন্ত্রাস করলেও মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীরা করছে। এটি একটি সরকারের মাস্টারপ্লানেরও অংশ। যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন জনগণ এবার আর একদলীয় নির্বাচন করতে দেবে না।
পতনের আগে শেষ তাণ্ডব শুরু করেছে সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের ভাষা বুঝলে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। কোনভাবেই এই গণজোয়ার ঠেকানো যাবে না। আন্দোলন সফল হবেই, জনগণের বিজয় হবেই।
গ্রেফতারের তথ্য তুলে ধরে রিজভী বলেন, রোববার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ২৭৫’র বেশি নেতাকর্মীকে। মামলা হয়েছে ১০টি, আসামী ৯৯৫ জনের অধিক নেতাকর্মী।