নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিএনপিই জয়লাভ করবে। তিনি দাবি করেন, এখনো বিএনপির দিকেই দেশের জনগণ চেয়ে আছে এবং শেষ পর্যন্ত জনগণের আস্থা তারাই অর্জন করবে।
আজ ৬ জুলাই রোজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণজাগরণ দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মান্না এসব কথা বলেন ।
বিগত ২০১১ সালের ৬ জুলাই তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনার স্মরণে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয় এবং সেই হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মূলত এই সমাবেশটির আয়োজন করা হয়।
মান্না বলেন,
“অনেকে অনেক কথা বলছে, অনেক বড় বড় সভা করছে, কিন্তু মানুষ জানে যে, তাদের আসল ভরসা কোথায়। শেষ পর্যন্ত মানুষ বিএনপির দিকেই তাকিয়ে আছে। আন্দোলনের কথা যারা বলে, তাদের অনেকে কেবল কথার রাজনীতি করে। কিন্তু বিএনপিকে জনগণ এখনো শক্তি হিসেবে দেখে।”
মান্না নিজের বয়স ও ভবিষ্যৎ ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন,
“এখন আমার বয়স ৭৫। আমি হয়তো আর ৫-১০ বছর পর থাকব না। কিন্তু আমি চাই তরুণ প্রজন্ম এই রাজনীতির দায়িত্ব নিক। মন থেকে তারা যদি দেশের কথা ভাবে, যদি জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে তারা কাজ করে, তাহলে তারাই পারবে এই দেশটাকে বদলে দিতে।”
মান্না অভিযোগ করে বলেন, “দেড় হাজার মানুষ জুলাই-আগস্টে নিহত হয়েছে”
তিনি আরও বলেন,
“শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন। জুলাই-আগস্টে মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে হত্যা করা হয়েছে দেড় হাজার মানুষকে । এমন ঘটনার ঘৃণা প্রকাশের মতো ভাষাও আমাদের জানা নেই।”
তিনি অভিযোগ করেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জয়নুল আবেদিন ফারুকের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ম্লান হয়ে গেছে। অথচ আজও এর বিচার হয়নি। বর্তমান সরকার আরও ভয়াবহ দমননীতি চালাচ্ছে, যা ইতিহাসে নজিরবিহীন
“এটা ছাত্র-জনতার নয়, শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থান”
ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে মান্না বলেন,
“আলাল বললেন যে এটা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। কিন্তু আমি বলি, এটা শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থান। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী এই ঘটনায় নিহত হয়নি। নিহতরা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর আমি নিজেও বগুড়ার মানুষ; সেখানে নিহত হয়েছিল ১১ জন । তারা হচ্ছে সবাই খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এটাই প্রমাণ করে, যারা জীবন দিয়েছে তারা কোনো দলের পতাকা নয়, দেশের জন্য রাস্তায় নেমেছিল”
এছাড়া সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন মো. হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ গণজাগরণ দলের সভাপতি হাবিব আহমেদ আশিক, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনির, ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ আরও অনেকে।
Tasin/DBN