আজ ৫ জুলাই রোজ শনিবার সকাল বেলা ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) আয়োজনে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত “সাংবাদিকতা: স্বাধীনতা, দায়বদ্ধতা ও সংস্কার” শীর্ষক এক পর্যালোচনা ও মতবিনিময় সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা কার্যক্রম ও সাংবাদিকদের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলো নিয়ে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ।
শফিকুল আলম সেখানে বলেন,
“সাংবাদিকরা গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রিত, পর্যবেক্ষণ ও প্রভাবিত হয়ে আসছিলেন। সরকার যেমনভাবে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করেছে, তাতে চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে এই দেশের স্বাধীন সাংবাদিকতা । কে নেবে এই পরিস্থিতির দায় তা জাতিসংঘের নিরপেক্ষ তদন্তেই সম্পূর্ণরুপে পরিষ্কার হবে।”
শফিকুল আলম আরও বলেন,
বর্তমান সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হলেও তারা একটি স্বচ্ছ গণমাধ্যম ব্যবস্থা গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে এখনো কাজ করে যাচ্ছে। এর একটি অংশ হিসেবে গণমাধ্যমের ওপর যেন কোনো ধরনের ভয়ভীতি, নজরদারি বা গোপন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা না হয়; সে বিষয়ে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় প্রেস সচিব আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেন । তিনি বলেন,
“সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের । এ বিষয়টি গণমাধ্যম মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে।”
এছাড়া সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ, ও কল্যাণ তহবিল গঠনের দিকেও সরকারের দৃষ্টি রয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব।
সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য একটি আলাদা কমিশন গঠনের দাবি তোলেন। উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে বলেন, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমের মতো সম্প্রচারের জন্যও একটি স্বতন্ত্র নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, যাতে পেশাদার সাংবাদিকতা বিকশিত হতে পারে।
সাংবাদিকরা আরও দাবি করেন, সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতে হলে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকা উচিত এবং আলাদা বেতন কাঠামো থাকা উচিত সাংবাদিকদের জন্য , যা নির্ধারিত হবে সরকারি তত্ত্বাবধানে ।
বিজেসির নেতারা সভায় এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো দেখা যাচ্ছে না কোনো অগ্রগতি । সরকার এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিচ্ছে না। এতে সাংবাদিক সমাজে হতাশা তৈরি হচ্ছে।”
Tasin/DBN