২ জুন ২০২৫:
আজ সোমবার বিকেল বেলা রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বিচার করা, সংস্কার ও নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা এখন হচ্ছে সময়ের দাবি। তিনি সাংবাদিকদেরকে সেখানে বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে এই অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের কথা জানালেও এতে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচন দেখতে চায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই । তাই সময় আরও পেছালে সরকারের দায়িত্ব থাকবে সেটা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা যে কেন এই অতিরিক্ত সময়ের দরকার এবং কী পরিস্থিতি সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তি।
জোনায়েদ সাকি এই বিষয়ে বলেন,
“আমরা আবার পরিষ্কারভাবে বলেছি, সংস্কার বিচার ও নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। সরকার নিজেরাই একটি সময়সীমা দিয়েছে ডিসেম্বর মাসের নির্বাচন আয়োজন নিয়ে , অথচ তার কোনো নির্ভরযোগ্য রূপরেখা এখনও প্রকাশ পায়নি। যদি নির্বাচন ডিসেম্বরের বাইরে হয়, তবে জনগণের জানার অধিকার রয়েছে যে সেই সময় কেন বাড়ানো হচ্ছে।”
তিনি বলেন,
“আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ঐকমত্য চাই। যেখানে দরকার, সেখানে সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত আছি আমরা। তবে এটি কখনোই একতরফা হতে পারে না। যে বিষয়গুলোতে জনগণের মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জুলাই সনদ’ বা ‘জাতীয় সনদ’ হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব রয়েছে আমাদের ।”
সাকি সেখানে আরও বলেন,
“হয়তো সব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হবে না। যে বিষয়গুলোতে মতভেদ থেকে যাবে, আমরা সেগুলো জনগণের সামনে উপস্থাপন করব এবং তখন নির্বাচনের মধ্যেই সেগুলোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে, নির্বাচনে যে দল জনগণের সমর্থন পাবে, সেই বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবে এবং তারা বাস্তবায়ন করবে।”
জনমনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে নির্বাচনের নির্ধারিত কোন তারিখ না থাকার কারণে , এই বলে মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি। “আসলে নির্বাচন হবে কিনা তা মানুষ জানতে চায়। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনা পর্যন্ত তুলতে পারছি না। একটি নির্বাচনের জন্য ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করতে হলে, আগে তার তারিখ নির্ধারিত হতে হবে। বিচার ও সংস্কারের পরিকল্পনা সেই তারিখের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে,” বলে জানান তিনি।
সাকি সেখানে আরও বলেন,
“আমরা আশা করি যে, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দূর করবেন জনগণের এই উদ্বেগ । জনগণ দেখতে চায় একটি স্বচ্ছ, ন্যায্য ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া যার ভিত্তিতে তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।”
Tasin/DBN