বাংলাদেশে অনেকেই মাছের মাথা ফেলে দেন। অথচ এই মাথার ভেতরের ছোট্ট একটি অঙ্গ ‘পিটুইটারি গ্লান্ড’ এখন কোটি টাকার আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গ্লান্ড থেকেই কৃত্রিম প্রজননের জন্য অত্যাবশ্যক হরমোন তৈরি হয়, যা বিশেষ করে ফিশ হ্যাচারি, ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ ও অ্যাকুয়া টেক কোম্পানিতে ব্যবহৃত হয়।
বিশ্বব্যাপী রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, শিং, মাগুর ও বোয়াল মাছের গ্লান্ডের চাহিদা ব্যাপক। মাত্র ৫–১০ মিলিগ্রাম ওজনের এই গ্লান্ডগুলো থেকে প্রতি কেজিতে প্রায় ৪,০০০–৫,০০০ গ্লান্ড পাওয়া যায়। আর আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য প্রতি কেজি ৩০–৫০ হাজার মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ৩০–৫০ লাখ টাকা।
গ্লান্ড রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তসমূহ:
ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন ও BIN নম্বর, EPB রেজিস্ট্রেশন ও মৎস্য অধিদপ্তরের অনুমোদন, এক্সপোর্ট কোয়ালিটি প্রসেসিং ও স্টোরেজ সুবিধা,
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অঞ্চল:
ময়মনসিংহ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলে প্রতিদিন যেসব মাছ কাটাকাটি হয়, সেখান থেকেই সংগ্রহ করা যেতে পারে মূল্যবান এই গ্লান্ড। ছোট স্কেলে ঘরে বসে শুরু করা গেলেও আন্তর্জাতিক মানে গ্লান্ড সংরক্ষণে -৪০°C ডিপ ফ্রিজ কিংবা ইথানল সলিউশন প্রয়োজন হয়।
বিশ্ববাজারে বায়ার খুঁজতে পারেন: Alibaba, Tradekey, Made-in-China, বিদেশি হ্যাচারি ও বায়োটেক কোম্পানি, আন্তর্জাতিক ফিশারিজ ট্রেড ফেয়ারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে
যারা মৎস্য খাতে নতুন উদ্যোক্তা হতে চান, তাদের জন্য পিটুইটারি গ্লান্ড একটি সুপার লাভজনক ও আন্তর্জাতিক বাজারসম্পন্ন সুযোগ। সচেতনতা, প্রশিক্ষণ ও সরকারি অনুমোদন নিয়ে বৈধভাবে শুরু করলে এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
Tasin/International Desk/Digital Khobor