২ জুন ২০২৫:
রোববার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, বিএনপি-র নিবন্ধন পুনর্বহাল ও আগের নির্বাচনী প্রতীক “দাঁড়িপাল্লা” ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
জামায়াতের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল ড. হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসে। সেখানে প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, মোবারক হোসাইন, এবং আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক রায়ে গত ১ জুন রোববার বলা হয়, আইনসঙ্গত ছিল না বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেই নিবন্ধন বাতিল করার সিদ্ধান্ত এবং তা নির্দেশ দেওয়া হয় পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
ড. আযাদ এই নিয়ে বলেন,
“আজ সুপ্রিম কোর্টের এই ররায়টির মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, আমাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোন সিদ্ধান্তে । আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন আদালত । এখন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো, দ্রুত সেই রায় বাস্তবায়ন করা।”
ড. আযাদ দাঁড়িপাল্লা প্রতীক আবার ফিরে পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন,
“আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, সবকিছু আবার ফিরিয়ে নিতে হবে পূর্বাবস্থায় । আমরা অতীতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এই দাঁড়িপাল্লা প্রতীকেই । তাই সেই প্রতীক স্বাভাবিকভাবেই ফিরে পাওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি। আদালতের রায় নির্বাচন কমিশন অমান্য করতে পারে না। আমরা আশাবাদী যে, আমরা অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিবন্ধন ও প্রতীক উভয়ই আবার ফিরে পাবো।”
ড. আযাদ আরও বলেন,
“আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি যে, আর বিলম্ব না করে অতি দ্রুত এই রায় বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে আমরা আবার স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারি।”
Tasin/DBN