জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শুধু প্রাকৃতিক দুযোর্গই বাড়ছে না; মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে।
বিশেষ করে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া ও যক্ষাসহ বিভিন্ন রোগবালাই বেড়ে যাবার সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের
সরাসরি সর্ম্পক আছে। তাই মানব স্বাস্থ্য নিয়েও বাংলাদেশের নীতি নির্ধারকদের আরও উদ্যোগ নেয়া জরুরি।
ডিজিটাল খবররের দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী
পরিচালক পিটার স্যান্ডস।
ক’বছর আগেও আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিলো এডিস মশাবাহিত প্রাণঘাতি রোগ ডেঙ্গু।
কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাল্টে গেছে মশাদের জীবনচক্র। এখন সারা বছরই দেখা যাচ্ছে এডিসের
বিস্তার। সেই সাথে ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে এডিস মশা। বেড়েছে চিকনগুনিয়ার প্রভাবও। নতুন করে
ফিরে আসছে যক্ষ্মা ম্যালেরিয়ার মতো রোগও।
জলবায়ু পরিবর্তনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি ডেঙ্গু, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়ারসহ মানবস্বাস্থ্যের ওপরে ক্ষতি
কমাতে কাজ করে আসছে গ্লোবাল ফান্ড।
গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক পিটার স্যান্ডস এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর
আমরা ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখতে পাচ্ছি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বছরজুড়ে ডেঙ্গু
রোগীর প্রাদুর্ভাব ও প্রকোপ বাড়ছে।
বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা নির্মূলের মোট তহবিলের ৭৬ শতাংশ, ম্যালেরিয়ার ৬৫ শতাংশ এবং এইডস মোকাবেলায়
২৮ শতাংশ অর্থায়ন করে আসছে গ্লোবাল ফান্ড। জলবায়ু পরির্বতনের শীর্ষ ঝুঁকিতে বাংলাদেশে ডেঙ্গু-যক্ষা-
চিকনগুনিয়াসহ রোগবালাই নির্মূলে কার্যক্রম বাড়ানোর ইঙ্গিতও দিলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক।
পিটার স্যান্ডসের মতে, বাংলাদেশকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে
বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ ৫০টি দেশে বেশি অর্থ খরচ করে গ্লোবাল ফান্ড।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়ের ৭৪ শতাংশই খরচ করতে হয় রোগীর পরিবারকে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের
প্রভাবে স্বাস্থ্যখাতে যে নেতিবাচক প্রভাব; সেটি মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র করতে পারে বলেও শঙ্কা
জানালেন গ্লোবাল ফান্ডের প্রধান।