দেশের সর্বোচ্চ পদ রাষ্ট্রপতিকে ঘিরে আবার তুমুল আলোচনা তৈরি হয়েছে। গণঅভ্যুর্থানের প্রায় এক বছর পরও পতিত আওয়ামী লীগের মনোনীত রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু কিভাবে শপদে বহাল আছেন এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি পদ নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিয়ে আলোড়ন তুলেছেন লেখক গবেষক ও জনপ্রিয় ইউটিউবার পিনাকি ভট্টাচার্য।
পিনাকি ভট্টাচার্য তার ইউটিউব চ্যানেল এর ভিডিওতে বলেন,
“হাসিনা পালাইছে সত্যি কিন্তু সে ফেলে গেছে একটা ছায়া।”
তিনি বর্তমান রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ দাবি করেন এবং পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নাম প্রস্তাব করেন।
পিনাকি ভট্টাচার্য আরও বলেন,
“একজনই আছেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য তিনি বেগম খালেদা জিয়া।”
গত বছরের 5 আগস্ট দেশে এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হাসিনার পালায়নের এক বছর পূর্ণ হবে। তবে এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দেশের রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন শেখ হাসিনার মনোনীত ব্যক্তি মোঃম্মদ শাহাবুদ্দিন চুপ্পু। এই পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ও আলোচনা শুরু হয়েছে।
পিনাকি ভট্টাচার্য আরও বলেন,
চুপ্পু মুজিব বাহিনীর লোক ছিল। হাসিনা মুজিব বাহিনীর বাইরে কাউরে প্রেসিডেন্ট বানাইতো না।
30 জুন সোমবার সন্ধ্যায় লেখক, গবেষক ও জনপ্রিয় ইউটিউবার পিনাকি ভট্টাচার্য তার ইউটিউব চ্যানেলে চুপ্পু আউট কে হচ্ছেন
রাষ্ট্রপতি শিরোনামে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। এতে পিনাকি বলেন, “শেখ হাসিনাকে বিদায় দেওয়া সম্ভব হলেও তার রেখে যাওয়া
প্রভাব এখনো দেশ থেকে সম্পূর্ণ দূর করা সম্ভব হয়নি। এক বছরেও হাসিনা নিযুক্ত রাষ্ট্রপতি এখনো বহাল। এটাই প্রমাণ করে পরিবর্তন আংশিক হয়েছে পূর্ণ নয়। কথা বলতে পারিনা বিচার করতে পারিনা। শহীদের রক্ত এখনো শুকায় নাই।”
পিনাকি আরো বলেন,
“শেখ হাসিনা ক্ষমতার শেষ দিকে মুজিব বাহিনীর বাইরে কাউকে রাষ্ট্রপতি পদে বসাননি। তারই একজন অনুগত ব্যক্তি চুপ ছিলেন ।”
এ প্রসঙ্গে নিজের আগের একটি ভিডিও দেখান যেখানে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন বলছেন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সালাম করতে গেলে তিনি নিতেন না তিনি ভাবতেন তার চরণের ধুলাও যদি পেতেন। রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন বলেছিলেন, গত তিন মাস ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সালাম করতে গেলে উনি আমার সালাম নিতেন না তা আমি দেখতাম যে উনার চরণের ধুলো আমি পাই না। পিনাকির মতে এমন মানসিকতা সম্পন্ন কেউ রাষ্ট্রপতি হিসেবে থাকাটা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বেমানান।
এই প্রেক্ষাপটে পিনাকি রাষ্ট্রপতি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার নাম প্রস্তাব করেন তার ভাষায় বাংলাদেশে একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি আছেন যিনি এই দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়া ।তিনি ইতিহাসের মহানায়ক । তিনি শিখিয়েছেন অন্যায়ের সামনে কখনো মাথা নত না করতে। পিনাকি আরো বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন একজন বটতলার উকিল। হাসিনার পদধুলির নেওয়া কর্মচারী এবং এস আলম গ্রুপের সাবেক কর্মচারী। এ ধরনের পরিচয়ধারী ব্যক্তি বাংলাদেশের মত একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্য নন।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন,
শাহাবুদ্দিনের অধীনে কোন নির্বাচন হলে তা জাতীয় তামাশা ছাড়া আর কিছুই হবে না। আমাদের পরবর্তী সরকার শপথ নেবে কি মহা তামাশা। বেগম খালেদা জিয়ার নাম প্রস্তাব করে পিনাকি বলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে যিনি সর্বাধিক সম্মানিত ও ত্যাগী নেত্রী। তিনিই হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। তিনি শুধু একটি দলের নেত্রী নন বরং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।
তার মতে বেগমজিয়া আর নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ইউনুস এই দুই অভিভাবকের নেতৃত্বেই নতুন বাংলাদেশের সূচনা হতে পারে। এই দুইজন যদি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অভিভাবক হন তাহলে নির্বাচন হবে সত্যিকারের উৎসবমুখর সহিংসতাম মুক্ত ও গণতান্ত্রিক পুলিশেরও
প্রয়োজন হবে না সেনাবাহিনীরও প্রয়োজন হবে না কোন পুলিশ মিলিটারি লাগবে না। এমনি এমনি শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর নির্বাচন হবে।
Tasin/DBN