১ জুন ২০২৫:
আজ রোববার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ড. মোশাররফ মন্তব্য করেন, ড. ইউনূসের এ বক্তব্যে “আমরা মর্মাহত হয়েছি”, কারণ এটি দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও বিরোধী রাজনৈতিক জোটের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানকে উপেক্ষা করে দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “শুধু বিএনপি নির্বাচন চায়, আর কেউ চায় না” বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ।
ড. খন্দকার মোশাররফ এই বিষয়ে বলেন:
“আমরা ড. ইউনূসকে অনেক সম্মান করি। কিন্তু তিনি বিদেশে গিয়ে বললেন, নির্বাচন নাকি শুধু বিএনপি চায়, অন্য কেউ চায় না।আমরা সত্যিই এ ধরনের মন্তব্যে অনেক মর্মাহত। শুধু তো বিএনপি নয়, ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে আরও ৫৪টি রাজনৈতিক দল । এটি হচ্ছে একটি জাতীয় ঐক্যের দাবি।”
তিনি সেখানে আরও বলেন, “ষড়যন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই নির্বাচন না হলে , এটি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের জন্য ।”
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, “যে ঐক্যমতের কথা বলছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস, তিনি যদি নিজেই এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেন, তাহলে কীভাবে এগোনো যাবে ঐক্যমত গঠনের পথে ?”
তিনি বলেন, “আলোচনার ডাক দিলে আমরা যাবো, কারণ আমরা রাজনৈতিক সমাধানে বিশ্বাস করি। কিন্তু আলোচনা তখনই ফলপ্রসূ হবে, যখন ন্যূনতম যে নির্বাচন-সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতে আলোচনা হবে।”
বিদেশিদের উদ্দেশে বার্তা
বক্তব্যে ড. মোশাররফ বিদেশিদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে বলেন:
“আপনি ভুলপথে পরিচালিত করবেন না বিদেশের নাগরিকদের । বিভক্ত করবেন না জাতিকে । যারা পরিচিত হয়ে আছেন বিতর্কিত উপদেষ্টা হিসেবে , নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ তৈরি করুন তাদের বাদ দিয়ে ।”
এছাড়া তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, উপদেষ্টা এমন কাউকে রাখা উচিত নয়, যার বক্তব্য বিভাজনের কারণ হয়। আমরা কোন সংঘাত চাই না। আমরা সমাধান চাই। তবে জনগণের ভোটের অধিকার হরণকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।”
Tasin/DBN