নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনো ভোটার হননি। তবে আবেদন সাপেক্ষে ও কমিশন চাইলে তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে ও প্রার্থী হতে পারবেন।’
আজ ১ ডিসেম্বর রোজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,
“কমিশন এই সিদ্ধান্ত দিলে তারেক রহমান ভোটার হতে পারবেন। তিনি ভোটার নিবন্ধন আইন অনুযায়ী পরবর্তীতে ভোটার হতে পারবেন। যে কারও জন্য এটা একই নিয়ম।”
এদিকে জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে–এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন । তিনি সোমবার সকালে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি সংবাদলিংক শেয়ার করে বলেন,
“ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।”
শফিকুল আলম আরও বলেন,
“নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না জিল্লুর রহমান– তিনি বহুদিন ধরে এ মন্তব্য করছেন; কিন্তু আমরা ভিন্ন বাস্তবতা দেখছি। খুব শিগগির নির্বাচন কমিশন তপশিল ঘোষণা করবে। শফিকুল আলমের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে সবসময়ই স্বচ্ছ থেকেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রেকর্ডসংখ্যক বাহিনীর পাশাপাশি অভূতপূর্ব মাত্রায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যও মোতায়েন করা হবে। নতুন ডিসি ও এসপি নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে এবং এই নিয়োগগুলো নিয়ে কোনো প্রকার উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন ওঠেনি।”
প্রেস সচিব এই বিষয়ে আরও বলেন,
“শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী প্রচারণা , অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। কিছু অভ্যন্তরীণ বিরোধ ছাড়া সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। জুলাই চার্টার গ্রহণের পর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি হওয়ায় একই সঙ্গে অনুষ্ঠিতব্য গণভোটের প্রস্তুতিও নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো ।”

