জুলাই সনদে স্বাক্ষরের সুযোগ খুঁজছে একটি রাজনৈতিক দল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি এই বিষয়ে বলেন, তাদের কিছু দাবি-দাওয়া রয়েছে। দলটি বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে সনদ বাস্তনায়নের কথা বলেছে। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী সরকারপ্রধানের এটি জারির কোনো অধিকার নেই। এই এখতিয়ার কেবল রাষ্ট্রপতির রয়েছে।
আজ ২৩ অক্টোবর রোজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ইউট্যাব আয়োজিত ‘২৪ জুলাই গণ-অভ্যুত্থান : তারুণ্যের ভাবনায় শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক আলোচনায় সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন ।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির করার প্রস্তাব দেওয়া আবেগতাড়িত। সরকার এখানে শুধু প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না। তবু প্রস্তাবকে স্বাগত জানায় বিএনপি।
এ সময় জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে দলীয় স্বার্থ প্রাধান্য পাওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন প্রসঙ্গে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, গণভোটের প্রস্তাব বিএনপিই দিয়েছে। নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবে দুটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই একমত হয়েছে।
তর্কবিতর্ক থাকবে, কিন্তু জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের পরে তা বাস্তবায়নের জন্য জনগণের মতামত নেওয়া হবে। এর লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনের একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট গ্রহণ হবে। সাংবিধানিক আদেশ জারি করার এখতিয়ার সরকারের নেই।
ভবিষ্যতে জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বা ভবিষ্যতে আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে, সালাহউদ্দিন আহমেদ এমন কোনো আদেশ জারি না করতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ।
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জনগণ রায় দিলে কাগুজে আদেশ হবে, প্রজ্ঞাপন খুব গুরুত্ব বহন করে না।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি আমাদের মানসিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন। অন্যান্য সংস্কারের পাশাপাশি মানসিক সংস্কার দরকার। অন্যথায় সংস্কারকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যাবে না।