২০১৬ সালে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুকে যাত্রা শুরু করে অল্প সময়েই নেটিজেনদের মাঝে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন রিপন মিয়া। তবে সম্প্রতি পরিবার ও ভরণপোষণ সংক্রান্ত একটি গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েছেন এই ইউটিউবার ও ফেসবুক তারকা। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
তবে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন রিপন মিয়া। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, পুরো বিষয়টি আসলে একটি ভুল বোঝাবুঝি। তিনি বুঝতে পারছেন না, কোথা থেকে কীভাবে বিতর্কের শুরু হয়েছে।
রিপন মিয়া বলেন, ‘মূলত কোথা থেকে কী হয়েছে আমি বুঝি নি বিষয়টা। আগে মনে হয় আব্বা-আম্মার কাছে গেছে, তারপর আমাদের বাড়িতে গেছে। আমি বাড়িতে ছিলাম না, আমি বাজারে ছিলাম। এরপর সাংবাদিক এসে বলছে, আপনার নামে বিচার আছে।’
নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম হওয়ায় তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ নন বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘আমার তো এমনি লেখাপড়া নেই। আমি ইন্টারভিউ দিই না কোনো জায়গায়। কার সাথে কীভাবে কথা বলতে হয়, এটা আমি বলতে পারিনা দেখেই মূলত আমি ইন্টারভিউ দিই না।’
মা-বাবার ভরণপোষণের বিষয়ে বলেন, ‘গ্রামের মানুষ কিন্তু সহজ-সরল। একজন কানপড়া দিলে আরেকজন সহ্য করতে পারেনা। দশজনে দশ কথা বললে একটা মানুষের মন এমনি নষ্ট হয়ে যায়। আবেগের কারণে আম্মা এগুলো বলেছে।’
রিপনের মতে, ‘ঘর বানাচ্ছি, এই ঘরে আমি তো আর একা থাকবো না, থাকবো তো আব্বা-আম্মাকে নিয়েই । আব্বা-আম্মার সাথে আমরা এখন ভাঙা ঘরে থাকছি । যেখানে বাড়ির কাজ হচ্ছে, যাওয়া লাগে ওখানে । নাহলে তো মিস্ত্রি কাজ করে না ঠিকমতো ।’