বহুল কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হতে যাচ্ছে । এই নিয়ে অন্তবর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, সেক্ষেত্রে প্রায় ৫ মাস সময় বাকি আছে। কিন্তু এখনও গণঅভুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র নেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি। দলটির শাপলা প্রতীকের দাবিও রয়েছে অমিমাংসিত।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন শাপলা প্রতীকের প্রসঙ্গে বলেছেন,
“শাপলা প্রতীকের ব্যাপারেই ভাবছি। এখন পর্যন্ত বিকল্প অন্য কোনও প্রতীক নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই। শতাধিক আইনজীবী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, শাপলা প্রতীক প্রদানে আইনগত কোনও বাধার জায়গা নেই।”
তবে নিবন্ধন কিংবা শাপাল প্রতীকের চেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এনসিপির বড় শর্ত হচ্ছে গণহত্যার বিচার ও সংস্কার বাস্তবায়ন।
এই বিষয়ে আখতার হোসেন বললেন,
“নির্বাচনের যে আলোচনা সেটা অবশ্যই প্রাসঙ্গিক। কিন্তু সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচন, সেটা পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত দেয়। সেটা বাংলাদেশে আমরা হতে দেবো না। বাংলাদেশে অবশ্যই নতুন ব্যবস্থার ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে হবে। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তারা সংস্কার প্রস্তাবনাগুলোর বাইরে যেতে পারবেন না। এইটা পাকাপোক্ত করেই ক্ষমতা অর্পণ করার দিকে আমাদেরকে অগ্রসর হতে হবে।”
অন্যদিকে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেছেন,
“নির্বাচনের জন্য এনসিপি প্রস্তুত এবং এনসিপি মনে করে গণপরিষদই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের মূল সমাধান। আমাদের মূল আপত্তির জায়গা বাংলাদেশের শাসনতান্ত্রিক যে কাঠামো সে কাঠামো পরিবর্তন, এখানে যাতে পূর্বের ফ্যাসিবাদ কোনোভাবে ফিরে না আসে।”
এনসিপি নির্বাচনে অংশ নিলেও জোট করবে কি না তা এনসিপি এখনও পরিষ্কার করে কিছু জানায়নি। তবে জোটের ক্ষেত্রে তরুণদের নেতৃত্বাধীন দলকে গুরুত্ব দেয়া হবে ।
আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন,
“ভোটের ক্ষেত্রে জোটের বিষয়ে এনসিপি এখনও কোনও ধরনের চিন্তা-সমঝোতা করেনি। বরং এনসিপি মনে করে তরুণদের যে প্রজন্ম, আগামীতে তাদেরকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ আসতে পারে।”