জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের আবু সাঈদের মতো করে জীবন দিয়ে হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি ঠেকাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিমউদ্দিন হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ তানভীর বারী হামিম। হামিম আরও বলেন, “ছাত্রদলের ছেলেদের দেখলে গাঁজাখোর লাগে কথাটি (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ যখন উচ্চারণ করলেন, তখন চোখের সামনে ভেসে উঠল গত জুলাই-আগস্টের সেই আওয়ামী বয়ান–প্রথম শহীদ আবু সাইদ নাকি টোকাই-গাঁজাখোর ছিলো”
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার বিকালে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
ফেসবুক পোস্টে হামিম লিখেছেন, “গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আবু সাঈদ যেমন বুক পেতে দু’হাত উঁচিয়ে জীবন দিয়েছিল, ঠিক তেমনি ছাত্রদলের দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থীরা আবারো রক্ত দিবে–কিন্তু পিআরের মতো অসম ব্যবস্থা কায়েমের নামে জাতীয় নির্বাচনকে ব্যহত করার পায়তারা সফল হতে দিবে না।”
একই পোস্টে হামিম আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদকেও উল্লেখ করেছেন । ছাত্রদল নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুয়াদের মূল্যায়নে ক্ষোভ প্রকাশ করে হামিম লিখেছেন, “আমরা কথা বলতে বলতে কোথায় থামব আর কোন পর্যন্ত বললে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে, মার্জিত হবে এটা জানা অত্যন্ত জরুরী। ব্যারিস্টার ফুয়াদদের এ দেশের জনগণ ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি হিসেবে জানেন ও চিনেন। দুঃখের সাথে পরিলক্ষিত করলাম, ব্যারিস্টার ফুয়াদ সাহেব ছাত্রদলের ছেলেদের দেখলে তার কেমন লাগে সেটি তুলে ধরতে যেয়ে খারাপ কিছু বিশেষণ টেনে আনলেন।”
হামিম আরও বলেন, “ছাত্রদলের ছেলেদের দেখলে গাঁজাখোর লাগে কথাটি তিনি যখন উচ্চারণ করলেন, তখন চোখের সামনে ভেসে উঠল গত জুলাই-আগস্টের সেই আওয়ামী বয়ান–প্রথম শহীদ আবু সাইদ নাকি টোকাই-গাঁজাখোর ছিলো”
হামিম (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদকে তলস্তয়ের ‘সাড়ে তিন হাত জমি’ গল্প থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আরো লিখেছেন, “ব্যারিস্টার ফুয়াদরা বিলেত থেকে ডিগ্রী এনেছেন ঠিকই, কিন্তু কতটুকুতে থামতে হয় সেই পরিসীমা সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে পারেননি। তলস্তয়ের কালজয়ী গল্প ‘সাড়ে তিন হাত জমি’-র ঘটনাটি মনে পড়ে গেল। যে গল্পে পাখোম জানতো না কতটুকু দৌঁড়ে তার থেমে যাওয়া উচিত। ব্যারিস্টার ফুয়াদ সাহেবকে সেই গল্প থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনুরোধ করছি।”