আবারও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে এসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নতুন কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে । বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন দমানোর জন্য ৫ লাখ টাকা চাওয়ার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে । এতে আন্দোলন বন্ধ করার বিনিময়ে টাকা নিতে তাকে পরামর্শ দিতে শোনা যায় ।
এর আগেও বড় অঙ্কের চাঁদাবাজি করায় ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদ থেকে তিনি বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ।
কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিন দাবি করেছেন, এটি হচ্ছে পুরোনো একটি ভিডিও।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম নগর শাখার সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব রাহাদুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করে লেখেন, “সাইফপাওয়ার টেকবিরোধী আন্দোলন দমন করতে গিয়ে নিজাম উদ্দিন ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, এটা শুধু দুর্নীতিই নয়, এটি ছাত্র ও জনতার বিশ্বাসের সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা।“
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিও আপলোড দেওয়ার পর ওই ভিডিওতে আফতাব হোসেন রিফাত নামে একজনকে নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে মেসেঞ্জারে সরাসরি কলে কথা বলতে দেখা যায়, যেটি অন্য আরেকটি ফোন দিয়ে ভিডিও ধারণ করা হয়।
কথোপকথনের শুরুতে আফতাব হোসেন বলেন, ‘যদি মীর ভাইয়েরা আন্দোলন বন্ধ না করে তখন কী করব?’
এর জবাবে নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আন্দোলন বন্ধ করাব। তোমারে দিছে, টাকা দিছে?’
আফতাব জবাব দেন ‘হ্যাঁ’।
কত লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে আফতাব বলেন ‘পাঁচ’।
এরপর নিজাম উদ্দিনকে বলতে শোনা যায়ঃ ‘আরও বেশি নিতা প্রেশার দিয়ে…তোমরা দেখো ওর থেকে আরও পাঁচ লাখ নিতে পারো কি না, নিতে পারলে ওদেরকে আমি এনে, রোহান, মীরদেরকে এসে কিছু দিয়ে দিলাম।’
নিজাম উদ্দিন অভিযোগের বিষয়ে বলেন, “পুরোনো ভিডিও ছড়িয়ে আমাকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এগুলো পরিকল্পিত।“
এনসিপি চট্টগ্রাম নগরের প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হক এই বিষয়ে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের থেকে তাকে একবার বহিষ্কার করা হয়েছিল। জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তার পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, আমরা তার কাছে ব্যাখ্যা চাইব।“
এর আগে গত ৫ জুলাই নিজামের বিরুদ্ধে দিয়েছেন ।
রিয়াজুল জান্নাত নামের এক নারী চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারকে চিঠি দিয়ে উল্লেখ করেন, “দুই কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় পুলিশে দিয়েছেন নিজাম উদ্দিন।” এই ঘটনার পর নিজামকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কিছুদিন পর তাকে আবার দলে নেওয়া হয়েছে।
Tasin/Digital Khobor