১৫ জুন ২০২৫:
ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেটাই হবে নির্বাচনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়; এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
একইসাথে তিনি জানান, এই সময়সূচি নিয়ে যারা উষ্মা প্রকাশ করছে, ১৯৭১ সালে তারা বাংলাদেশের জনগণের বিরোধিতা করেছিল।
তিনি আজ শনিবার বিকেল বেলা গাজীপুরের ভবানীপুরে এক বিক্ষোভ ও সমাবেশে এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন,
“ফেব্রুয়ারির প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হলে তা আবহাওয়ার দিক থেকে হবে সবচেয়ে অনুকূল সময়। ওই সময় রমজান মাস নেই, পরীক্ষাও নেই। এর চেয়ে ভালো সময় নির্বাচন আয়োজন করার জন্য আর হয় না। এই সময়েই অতীতেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।” তিনি সেখানে আরও বলেন, “অন্যদিকে প্রচণ্ড গরম পরে এপ্রিল মাসের দিকে, তখন থাকে কালবৈশাখী ঝড় ও নানা প্রাকৃতিক সমস্যা যা বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভোটারদের নির্বাচন মাঠ প্রাঙ্গনে উপস্থিত হতে।”
রিজভী আহমেদ সরাসরি কোনো দলের নাম উল্লেখ না করলেও জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলগুলোকে ইঙ্গিত তিনি বলেন,
“আমাদের কিছু তথাকথিত রাজনৈতিক দল এখন নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে কথা বলছে। তারা নির্বাচনী বিষয় নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করছে। অথচ ১৯৭১ সালে তারাই অবস্থান নিয়েছিল বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে ।”
তিনি আরও জানান,
“তারা এখন বলছে ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেবে, সম্পর্ক উন্নয়ন করবে ভারতের সঙ্গে । তাহলে প্রশ্ন হলো এই রাজনীতি কীসের? ভুলে ভরা ও বিভ্রান্তিকর এদের রাজনীতি । অপরদিকে বিএনপির রাজনীতি ইতিবাচক, গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে উৎসর্গীকৃত।”
লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বৈঠক নিয়ে রিজভী বলেন, “কিছু দলের মনে জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছে তাদের এই বৈঠক । এতেই বোঝা যায়, তারা ভয় পেয়েছে ও গণতন্ত্রপন্থী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।”
রিজভী আহমেদ বক্তব্যের একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, “বারবার অপপ্রচার চালানো হয়েছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে , তার বিরুদ্ধে মামলাও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি পালিয়ে যাননি দেশ ছেড়ে । তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি।”
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে শেখ হাসিনা ধ্বংস করেছেন, বিলুপ্ত করেছেন দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার , ভোটাধিকার হরণ করেছেন। এখন আবার মেতে উঠেছেন নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় ।”
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সম্পর্ক নিয়ে রিজভী বলেন, “ভারত পুশ ইন করে পা রাখছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে , যার মাধ্যমে ঝগড়া করতে চাইছে তারা । বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অগ্রাহ্য করে তারা এমন কাজ করলে এর দায়ভার ভারতকেই নিতে হবে।”
Tasin/DBN