আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের মণিপুর রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ভবনে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালের দিকে মণিপুরের রাজভবন ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে হামলা চালায় তারা। এ সময় ডিসি অফিসে টানানো পতাকা নামিয়ে সাতরঙা একটি পতাকা উড়ায় তারা।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সংস্করণ ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম ইস্টমোজোর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে বলেছে, মণিপুরের শিক্ষার্থীরা সোমবার সেখানকার প্রধান প্রধান সরকারি ভবনে হামলা চালিয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজভবন ও থৈবালের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে।
এর আগে, রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তনের দাবিতে রাজধানী ইম্ফলের রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এ সময় তারা রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করে।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা রাজ্যের বর্তমান নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অপসারণ ও মণিপুরে শান্তি ফেরাতে রাজ্য সরকারের হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি দাবি জানায়। বিক্ষোভকারীরা বলছে, চলমান সংকটকে আরও ভালোভাবে মোকাবেলা করার জন্য নিরাপত্তা অভিযানের দায়িত্ব স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নেওয়া উচিত।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের বাসভবনে হামলার চেষ্টা করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছেন। পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মণিপুরের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সরকারি অফিস থেকে একটি পতাকা নামিয়ে সেখানে নতুন করে আরেকটি পতাকা উড়ানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ইস্টমোজোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা নতুন করে যে পতাকাটি উড়িয়েছেন সেটি কাঙ্গলিপাক বা সালাই ট্যারেট পতাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। মণিপুরের শিক্ষার্থীদের সরকারি অফিসে নতুন পতাকা উত্তোলনের এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সুভাষ সিং বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি পুরোনো সালাই ট্যারেট পতাকা নামিয়ে নতুন পতাকা উত্তোলন করেছে। তবে নতুন পতাকাটি কিছুক্ষণ পরই নামিয়ে ফেলা হয়েছে।
বিষয়টি পরিষ্কার করে তিনি বলেন, আমরা সাধারণত প্রধান ফটকে পতাকা উত্তোলন করি না। আমাদের মূল অফিস ভবনে তেরঙা উড়ানো হয়।